মাধবপুর প্রতিনিধি :
হবিগঞ্জের মাধবপুরে ৬নং শাহজাহানপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে নিহতের জের ধরে পুরুষ শূন্য বাড়িতে ১২ টি ঘর বাড়ি ভাঙচুর নগদ অর্থসহ স্বর্ণালঙ্কার লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে ।
সরে জমিনে জানা যায়, গত ২২ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের দিন এলাকার যুবক ছেলেরা গাড়ি নিয়ে পিকনিক করার সময় নিহতের পক্ষের সাথে হাতাহাতি ও পরে সঙ্ঘবদ্ধ মারপিট হয় । উক্ত মারপিটে ঘটনাস্থলে ইরফান মিয়া (৫০) নামে এক বৃদ্ধের মৃতু্য হয় । এ ঘটনায় জড়িতরা আড়াল থেকে বেচে গেলেও ফেঁসে গেলেন বর্তমান আসামীরা । আসামীদের সাথে নিহত ইরফান মিয়ার পরিবারের পূর্ব শত্রুতা থাকায় এ মামলায় তাদেরকে আসামী করা হয়েছে । লুটপাট করেছে তাদের বাসস্থানের, ভাংচুর করেছে তাদের ঘর বাড়ি ও আসবাবপত্র, উঠিয়ে নিয়েছে পানির টিউবওয়েল । মামলার এজাহার মতে তারা প্রায় ২৫ লক্ষ ২৭ হাজার টাকার মালামাল লুটপাট করেন। বর্তমানে শিক্ষার্থীসহ নারীরাও আতঙ্কে দিনাপাত করতেছে। পুলিশের সহযোগিতা থেকেও বঞ্চিত তারা । ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের অধ্যায়ন।
এ নিয়ে রাবেয়া বেগম (৪৫) অভিযান২৪ডট কমকে জানান, ভাঙচুর ও লুটপাতের বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলা করেও প্রশাসনের কোন সহযোগিতা পাচ্ছি না। আমারা বাড়ি ঘরে উঠতে পারছি না । আমাদের বাড়িতে এমন কিছু নেই যে আমরা দাঁড়াতে পারব। ভাঙচুর করে সব কিছু নিয়ে গেছে তারা । প্রতিবেশী ছেলেরা আমোদ করতে গিয়ে বাঘ বিতন্ডায় এ ঘটনা ঘটে। পরিকল্পিতভাবে আমাদেরকে ফঁাসিয়ে দেওয়া হয়েছে । এখন আমরা বিভিন্ন মানুষের বাড়িতে কষ্ট করে দিনযাপন করতেছি । প্রকৃত দোষীরা ধরা চুয়ার বাইরে রয়ে গেল। লুটপাটের অভিযোগ নিয়ে ভুক্তভূগী মোঃ আনোয়ার আলীর স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৪৫) বাদী হয়ে আদালতে মৃত ফুল মিয়ার ছেলে আব্দুল খালেক (৬২), আব্দুল খালেক এর ছেলে আব্দুর রউফ (৩৫) ও মৃত নুর মিয়ার চার ছেলে ফয়সাল মিয়া, দুলাল মিয়া, কাউসার মিয়া ও সুরুক মিয়া সহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক অভিযান২৪ডট কমকে জানান, বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে । খবর পেয়ে মাধবপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন । বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে ।