শহীদ উল্লাহ টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি:::
কক্সবাজার টেকনাফে জমির পূর্ব বিরোধের জের ধরে রেজাউল করিম (৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ রাস্তার মাথা নামক এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি।
নিহত রেজাউল করিম (৩২) টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নে শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া বাসিন্দা মৃত হামিদ হোসেনের ছেলে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের মামা মোহাম্মদ আয়াছ বলেন, জমি নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ রয়েছে। সকালে মামলায় হাজিরা দিতে কক্সবাজার যাওয়ার উদ্দ্যেশে শাহ এমরান, নুর করিম, রেজাউল করিম ও তিনিসহ চারজন একটি অটোরিকশা যোগে রওনা হন। এক পর্যায়ে তাদের বহনকারি গাড়ীটি শাহপরীর দ্বীপ তিন রাস্তার মাথা নামক এলাকায় পৌঁছে। এসময় উত্তরপাড়ার বাসিন্দা এনামুল হক পেটানের ছেলে মোহাম্মদ ফরহাদের নেতৃত্বে কয়েকজন দা, লম্বা কিরিচ ও লোহার রড নিয়ে অটোরিকশাটি গতিরোধ করে থানায়।
এই পরিস্থিতিতে প্রাণ রক্ষার্থে রেজাউল করিমসহ চারজন গাড়ী থেকে নেমে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালাই। পরে ধাওয়া করে রেজাউল করিমকে ধরে ফেলে প্রতিপক্ষের লোকজন। এসময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে ( রেজাউল ) এলোপাতাড়ী কোপানো হয়। এতে তার দুই হাত, দুই পা, মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম হয়। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলের দিকে এগিয়ে গেলে দূর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। “
কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে মাটিতে ফেলে রাখা হয়।
তিনি বলেন, স্থানীয়রা আহত রেজাউল করিমকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নওশাদ আলম কাকন বলেন, হাসপাতালে আনার আগে তার মৃত্যু হয়েছে। নিহত যুবকের শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
টেকনাফের ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, জমি নিয়ে পূর্ব শত্রুতার পাশাপাশি প্রতিপক্ষের লোকজনের উপর হামলার মামলায় রেজাউল করিম প্রধান আসামি ছিল। এর জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালিয়ে খুনের এ ঘটিয়েছে।
তারপরও খুনের ঘটনার রহস্য উদঘাটনের পাশাপাশি জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলেন জানান ওসি।
ওসমান গণি জানান, নিহতের লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।