ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে চান্দুরা ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার চাঁন মিয়া হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
২ অক্টোবর বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার আমতলী বাজারে মেঘনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মিলনায়তনে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহতের ছেলে আজম খান।
তিনি লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, কৃষি জমিতে যাওয়ার নির্ধারিত রাস্তায় ব্যবহারে বিঘ্ন সৃষ্টি করাকে কেন্দ্র করে, আসামিগণ আমার পিতাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতর জখন করে।
জখমী পিতাকে জরুরী ভিত্তিতে বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা গুরুতর দেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে দুইদিন চিকিৎসার পর ধীরে ধীরে রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে চিকিৎসক ঢাকা নিতে পরামর্শ দেন।
এদিকে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজন দেখে বিজয়নগর থানায় ১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সাগর মিয়া,সালাউদ্দিন, মিজান মিয়া, রেনু মিয়া, জানু মিয়া, ইসমাইল মিয়া, মারুফা বেগম ,বিমলা বেগম , আবুখা , আছমা বেগম ও লোকমান মিয়া সহ মোট ১১জনের নাম উল্লেখ করে মামলার দায়ের করা হয়। আসামিরা আমার নিকট আত্মীয়।
এদিকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা রেফার করার চার দিন পর ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমার পিতা চান মিয়া মেম্বার মৃত্যুবরণ করেন।
হত্যা মামলা দায়েরের পর এখনো পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেফতার হয় নাই। এদিকে হত্যা মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য আসামীরা ষড়যন্ত্রমূলক একটি সাজানো মানববন্ধন করে এলাকায় বিভ্রান্ত করছেন এবং মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি ও হয়রানি করছেন।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং পিতা হত্যার বিচার ও দ্রুত আসামী গ্রেফতারের দাবি জানান।
নিহতের ছেলে আজম খাঁন ।