জাকির হোসেন হাজারী, দাউদকান্দি(কুমিল্লা)প্রতিনিধি
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে আটকা পড়েছে অন্তত অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। আটকে পড়াদের উদ্ধারে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও বিভিন্ন স্বেচ্ছসেবী সংগঠন। দুর্ঘটনার আশংকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কিছু এলাকায়।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, বুধবার (২১ আগস্ট) রাত থেকেই তিতাস উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে বন্যার পানি বাড়তে শুরু করে। প্রবল বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে কলাকান্দি, ভিটিকান্দি ও নারান্দিয়া ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। এসব এলাকার অধিকাংশ বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে। বেশির ভাগ সমস্যায় দেখা দিয়েছে বয়োবৃদ্ধ ও শিশুদের নিয়ে।
ভিটিকান্দি ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের মোঃ হানিফ মিয়া বলেন, গতকাল রাত থেকে আমাদের ঘুম নাই। ফসল পানিতে ডুবে যাচ্ছে । ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে।
অনেক বাড়িতে চুলা ডুবে গেছে। রান্না করতে পারেনি।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, রতন গ্রামের সরকারি খালটি ভরাট করে ভাগ করে নিয়ে ঘর বাড়ী তুলে দখল করেছে কিছু লোক। এই খালটি থাকলে হয়তো আজকে আমাদের বাড়ীতে পানি উঠতো না। খাল দিয়ে পানি তিতাস নদীতে চলে যেত।
বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ভিটিকান্দি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রটির সামনের খোলা অংশে পানিতে ডুবে গেছে ।
বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের পানিবন্দি মানুষদের সহযোগিতায় কাজ করতে দেখা গেছে। দাসকান্দি বাজারে “তিতাস মুক্ত স্কাউট গ্রুপ” এর সদস্যদের দৌড়াদৌড়ি করতে দেখা যায়। ওই গ্রুপের একজন নয়ন সূত্রধর। দাড়াতে বললে বলেন, ভাই কি বলবেন তারাতারি বলেন লোকজনকে উদ্ধার করতে হবে। তিনি বলেন আমাদের টিমের ৩০/৩৫ জন কাল রাত থেকেই আমরা কাজ করছি। যাদের বাড়ীতে পানি উঠেছে জিনিসপত্রসহ তাঁদেরকে আশ্রয় কেন্দ্রে উঠতে সহযোগিতা করছি।
তিতাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাঃ সুমাইয়া মমিন জানান , উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের পানিবন্দি মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক টিম, স্কাউট টিম কাজ করছে। আমাদের উপজেলা প্রশাসনের সবাই কাজ করছে। তিনটি ইউনিয়নে জিআর চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, আর শুকনো খাবারের প্যাকেট প্রস্তুত করা হচ্ছে।