তানভীর ইবনে মোবারক, জাবি প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ছয় হাজার টাকা ‘শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি’ আদায়ের প্রতিবাদে ও ফি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।
আজ রবিবার (২১ এপ্রিল) দুপুর দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার সংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী আহসান লাবিবের সঞ্চালনায় বক্তারা শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি আদায়কে ‘অন্যায্য’ বলে উল্লেখ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সংকট থাকলে তা অন্য খাতের সাথে সমন্বয় করা ও অবিলম্বে এ ফি বাতিলের দাবি জানান।
এসময় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার সংগঠক সোহাগী সামিয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় দিনের পর দিন লাইটিং করে অর্থ অপচয় করতে দ্বিধাবোধ করে না। কিন্তু শিক্ষার্থীদের কল্যাণের জন্য তাদের পকেট থেকে টাকা নিতে চায়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হলো গরিব-দুখী মেহনতি মানুষদের আশ্রয়স্থল। খেটে খাওয়া মানুষের সন্তানরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। এখন এ প্রতিষ্ঠানগুলো যদি দিনের পর দিন খরচ বাড়াতে চায় তাহলে তারা কোথায় যাবে। টাকা যার শিক্ষা তার— এ নীতি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে না আসলে শিক্ষার্থীরা দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।
ছাত্র ইউনিয়ন জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ইমন বলেন, শিক্ষার্থীদের উপর অন্যায়ভাবে ছয় হাজার টাকার দায় চাপানো হয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ এমাউন্ট হয়তো খুব বেশি না। কিন্তু সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর খুব কম এফোর্ডেবল ফি দিয়ে ভর্তি হয়ে আসছিলো। পরবর্তীতে বিভাগ উন্নয়ন ফি চালু করা হলেও ছাত্রদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বাদ দেয়া হয়। এখন আবার নতুন করে শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি হিসেবে তা চাপানো হয়েছে। আমরা একে অন্যায্য বলে দাবি করছি। অনতিবিলম্বে এ ফি না কমালে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবো।
আন্তজার্তিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময়ে ফি আদায়ের প্রবণতা বাদ দিতে হবে। বিভিন্ন বিভাগে উইকেন্ড কোর্স চালু আছে। বিভাগগুলো বলছে এ টাকা যথেষ্ট নয়। তাদের অর্থসংকটের অতিরিক্ত টাকা কি শিক্ষার্থীরা বহন করবে? পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য হচ্ছে সর্বস্তরের সবার জন্য উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করা। পাবলিক ফান্ড ট্যাক্স বা ইউজিসি থেকে অন্য কোনভাবে এ টাকা সমন্বয় করতে হবে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ টাকা নেয়া যাবেনা। ছাত্রদের কাছ থেকে টাকা নিলে এ বিশ্ববিদ্যালয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এ বিশ্ববিদ্যালয় স্বার্থকতা হারাবে। কালকে থেকে ভর্তি শুরু হবে, অসংখ্য ছাত্রদের উপর অন্যায্য অর্থনৈতিক চাপ আসবে। এটা কোনভাবেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে কাম্য নয়। আমরা সকল শিক্ষার্থীকে এ যৌক্তিক দাবিতে সংযুক্ত হওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
সম্পাদক ও প্রকাশক ঃ সাংবাদিক সারুয়ার হাজারী। বিএ (অনার্স), এমএ ইংরেজি।
গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিষয়ে মাস্টার্স (অধ্যয়নরত) পিআইবি।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় ঃ অভিযান সেন্টার, বিজয়নগর উপজেলা মোড়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
রাইট টাইমস 24