সালথায় আলোচিত সংঘর্ষস্থল পরিদর্শনে এসপি মোর্শেদ আলম

ঢাকা, সারাদেশ, ১৫ এপ্রিল ২০২৪, 39 বার পড়া হয়েছে,

আরিফুল ইসলাম, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নে দুই কিশোরের ক্যারাম খেলাকে কেন্দ্র করে কয়েক গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষে বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর-লুটপাট ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ মোর্শেদ আলম (পিপিএম) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনার পরদিন সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলেন। অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান এবং পুলিশকে সার্বিক সহযোগিতা করার কথা বলেন।

পরিদর্শন কালে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ মোর্শেদ আলম (পিপিএম) সাংবাদিকদের জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে সালথা থানা পুলিশ ও ফরিদপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে, এই ঘটনায় রাতেই একটি মামলা হয়। থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ রাতভর অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ৩০ জনের অধিক আসামি কে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ নিরপেক্ষ থেকে সুষ্ঠ তদন্ত করে দ্রুত সম্ভব পুলিশি রিপোর্ট প্রেরণ করবে।

স্থানীয়দের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবেন না, আপনারা অনিরাপদ বোধ করলে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ নম্বর অথবা ডিউটি অফিসার এবং অফিসার্স ইনচার্জ এর নম্বরে ফোন দিবেন। অবস্থা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এখানে পুলিশ টহলে থাকবে। এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, সালথা একটি কাইজ্যা প্রবণ এলাকা। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শত শত মানুষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। সংঘর্ষ একটি সামাজিক ব্যাধি এটি নির্মূলে পুলিশ ইন্টারনালি কাজ করছে। আশা করছি আপনারা এই কাজের ফলাফল পাবেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. এমদাদ হোসেন, সহকারি পুলিশ সুপার (সার্কেল নগরকান্দা) মো. আসাদুজ্জামান শাকিল, সালথা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান (পিপিএম), জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি মোঃ আব্দুল মতিন, এসআই আব্দুল হান্নান, সালথা থানা পুলিশের এসআই আবুল কালাম আজাদ, এসআই হারুনুর রশিদ প্রমূখ।

উল্লেখ: গত শুক্রবার ঈদের পরদিন গট্টি ইউপির জুগিডাঙ্গায় দুই কিশোরের ক্যারাম খেলা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়, এরই জের ধরে রবিবার বিকেলে কাঠালবাড়িয়া এলাকায় কয়েক গ্রামের মানুষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এসময় সংঘর্ষকারীরা দুটি টিনের ঘর একটি দোকান ঘরে অগ্নিসংযোগ করে এবং হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে চারটি গরু সহ দামী মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা যায়। সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে বিষয়টি সারা দেশে আলোচনা সমালোচনার জন্ম দেয়।