মহামারি আকারে ডেঙ্গু মানুষের জীবনকে মূল্য দিলে মশা মারতে হবে

মতামত, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, 121 বার পড়া হয়েছে,

জুলাই মাস থেকে ডেঙ্গু দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে রাজধানীর বাইরের জেলাগুলোতে। আর এই সময় এসে দেখা যাচ্ছে ঢাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। গত ১ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এক দিনে ২১ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিল খোদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর থেকে ২১ জন না হলেও গড়ে দশের ওপর থাকছে মৃত্যুসংখ্যা। দ্রুতই মোট মৃত্যুর সংখ্যাটি হাজার হয়ে যাবে বলে আশংকা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের চেয়ে বেশি মৃত্যুহার আর কোনো দেশে দেখা যাচ্ছে না। সেই বিবেচনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি মহামারি আকার নিয়েছে বলা যায়।

কিন্তু সরকার মহামারি বলছে না। তবে আমরা তো জানি যখন কোনো অনিয়ন্ত্রিত রোগ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে, তখন সেটাকে মহামারি বলা হয়। যাই হোক সন্দেহ নেই যে, জনস্বাস্থ্য সঙ্কট পর্যায়ে পৌঁছেছে দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি। এখন আর এটি কেবল প্রাদুর্ভাব নয়। প্রতিদিন শত শত মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। ঘটছে প্রাণহানির ঘটনা। কিন্তু এমন অবস্থায়ও কেন বিষয়টি নিয়ে তেমন তৎপরতা নেই, সেটা বোঝা যাচ্ছে না।

ডেঙ্গু একটি বড় জনস্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করেছে। তবে এর উৎস মশা। এবং এই মশা নিধনে ব্যর্থ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় একটি বড় জনস্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করেছে দেশে। বর্ষা আসলেই মশাবাহিত রোগ নিয়ে কথাবার্তা বলে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের। গত কয়েক বছর ধরেই মশার কামড়ে সৃষ্ট ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বাড়ছে, এবার সব রেকর্ড ছাড়িয়ে বড় জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। শুধু ঢাকায় নয়, সারাদেশে। আক্রান্তের পাশাপাশি মৃতের সংখ্যাও রেকর্ড ছাড়িয়েছে।

উষ্ণ-আর্দ্র আবহাওয়া, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা ও মানুষের অসচেতনতার কারণে বাংলাদেশ মশার প্রজননের উপযুক্ত ক্ষেত্র হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছে। বলা হচ্ছে এই আবহাওয়াটা আরও কিছুদিন বিরাজ করবে। এমন আবহাওয়া পাশের পশ্চিমবঙ্গেও আছে, তবে সেখানে মশা কমেছে এবং ডেঙ্গুও নিয়ন্ত্রণে।