ভিয়েনায় একুশে আগস্ট স্মরণে আলোচনাসভা আনিসুল হক, ভিয়েনা (অস্ট্রিয়া) থেকে ২২ আগস্ট, ২০২৩ ১২:৫৮ শেয়ার

প্রবাস-পরবাস, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, 110 বার পড়া হয়েছে,

শোকাবহ পরিবেশে ও যথাযোগ্য মর্যাদায় একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার ডেজনারটাসে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। ভিয়েনায় সোমবার (২১ আগস্ট) বিকেলে অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম। এটি পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম কবির।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সর্ব-ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি, অস্ট্রিয়াপ্রবাসী লেখক, মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিক এম নজরুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন সর্ব-ইউরোপিয়ান মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বায়জীদ মীর।

 

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রুহী দাস সাহা, মিজানুর রহমান শ্যামল, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুর রহমান বাবুল, মনোয়ার পারভেজ, ইমরুল কায়েস, মাহাবুব খান শামীম, জহিরুল ইসলাম তুহিন, কবিরুজ্জামান নোমান প্রমুখ।

সভায় এম নজরুল ইসলাম বলেন, একুশে আগস্ট হত্যাযজ্ঞের পেছনে উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের হত্যা ও আওয়ামী লীগকে সমূলে উৎখাত। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ২০০৪ সালের হত্যাচেষ্টার উদ্দেশ্যের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।

পার্থক্য একটাই, ১৯৭৫ সালে এই উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। ২০০৪ সালে তা ব্যর্থ হয়েছে।

 

তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় নেতাদের হত্যাকাণ্ডে নেপথ্য নায়কদের একজন ছিলেন, তিনি জেনারেল জিয়াউর রহমান। ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার নেপথ্য নায়কদের প্রধান জেনারেল জিয়াপুত্র তারেক রহমান।

তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘সন্ত্রাস ও লুটপাটের রাজপুত্র তারেক জিয়াকে অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।’

খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম বলেন, ‘তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল, যা বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেই তদন্তে উদঘাটিত হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।’

সভায় একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমানসহ নিহতদের রুহের মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করে দোয়া করা হয়।