বিজয়নগরে গ্রাহকদের কোটি টাকা নিয়ে অগ্রণী ব্যাংকের এজেন্ট উধাও

অর্থনীতি, চট্টগ্রাম, বিজয়নগর, সারাদেশ, ৯ আগস্ট ২০২৩, 182 বার পড়া হয়েছে,

বিজয়নগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগরে গ্রাহকদের কোটি টাকা নিয়ে অগ্রণী ব্যাংকের এজেন্ট উদ্যোক্তা মোঃ আঞ্জব আলী উধাও হয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার থেকে এজেন্ট ব্যাংকিয়ের শাখাটি তালাবদ্ধ আছে। খোঁজ নিচ্ছে না অংশীদার ও এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবস্থাপকরা। কিন্তু এই আউটলেট বন্ধ থাকায় নিজেদের গচ্ছিত টাকা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শত শত গ্রাহক।
ভুক্তভোগী গ্রাহক ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের আব্দুরনুর মোল্লার ছেলে মোঃ আঞ্জব আলী ( ৪৫) উপজেলার আমতলী বাজারে অগ্রণী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু করেছেন। ব্যবস্থাপক হিসেবে তিনি নিজেই দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ভালো আচরণের মাধ্যমে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করেন আঞ্জব আলী । তিনি স্থায়ী আমানত বা ডিপিএস জমার বিপরীতে মাসে হাজার টাকা সুদ দেওয়ার ঘোষণা দেন। এতে গ্রামবাসীরা ডিপিএসে আগ্রহী হন। এসব ডিপিএস রাখার সময় অনেক ক্ষেত্রে তিনি বিদুৎ নেই বলে সাদা কাগজে লিখে দেন এবং পরে অনলাইনে পোষ্ট দেয়ার কথা বলেন। বর্তমানে আঞ্জব আলী গাঁ ঢাকা দিয়েছেন। অগ্রণী ব্যাংকের এই এজেন্টে টাকা জমাকারী আড়িয়ল গ্রামের মাহফুজ মিয়া বিদেশে যাওয়ার জন্য ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, আমতলী বাজারের ফল বিক্রেতা জিয়াউর রহমানের ৯ লক্ষ টাকা, মুড়ি বিক্রেতার সারুয়ার আলমের ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকাসহ প্রায় ২৫০০ গ্রাহকের কোটি টাকা আমানত রেখেছিলেন। গত তিন দিন তাঁরা আমতলী বাজারে এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় গিয়ে কাউকে পাননি এবং তার ফোন বন্ধ রয়েছেন।
ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা জানান, এই এলাকার অনেকের স্বজনই প্রবাসী। তাঁদের পাঠানো টাকা এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় জমা করেছিলেন ডিপিএস হিসেবে। সেই টাকার ওপর প্রতি লাখে এক হাজার টাকা সুদও পাচ্ছিলেন। কিন্তু রোববার থেকে শাখাটি তালাবদ্ধ করে এজেন্ট উধাও হয়ে গেছেন।
এ বিষয়ে অগ্রণী ব্যাংকের চান্দুরা শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ শামীম জানান, ‘এজেন্ট ব্যাংক শাখায় কেউ যদি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লেনদেন করে থাকে, তাহলে মূল শাখায় এর সব দায়দায়িত্ব থাকে। এতে প্রতারিত হওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু আমতলী এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে যেটা হয়েছে, সেটা হলো তাঁরা (গ্রাহক) আঞ্জবালীর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে লেনদেন করেছেন। এ জন্য ব্যাংক এর দায়দায়িত্ব নেবেন না।
স্থানীয় চান্দুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সামিউল হক চৌধুরী জানান, আঞ্জবালী ব্যবসার সুবাদে এলাকায় মানুষের আস্থা অর্জন করেছিলেন। সরলমনা মানুষের সঙ্গে তিনি এভাবে প্রতারণা করবেন, তা কেউ ভাবতে পারেনি।
এ বিষয়ে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ জানান, এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।