বিজয়নগর( ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সংবাদদাতা:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ভিন্ন কৌশলে ভারতে শিশু পাচারের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের নিদারাবাদ গ্রামে মোঃ রিপন মিয়ার মেয়ে সুবর্ণা আক্তার (৯) ও মোঃ মামুন মিয়ার মেয়ে মাফিয়া আক্তার (৮) গত ২৯ জুন ঈদুল আযহার দিনে বেলা ১১ টার সময় পাশর্^বর্তী দেওয়ান বাজারে আইসক্রিম আনার জন্য গেলে পাচারকারীর চক্র উক্ত শিশু দুইটিকে অটোরিকশা দিয়ে বাড়ি পৌঁছিয়ে দিবে বলে তুলে নিয়ে যায়। পরে সুবিধাজনক স্থানে শিশু দুইটিকে পানিতে ঔষধ মিশিয়ে অজ্ঞান করে পাহাড়পুর ইউনিয়নের মনিপুর এলাকায় ভারতীয় সীমান্তে পাচার করার উদ্দেশ্যে নেন। সেখানে একটি কুড়েঘরে শিশু দুইটিকে আটকে রেখে জ্ঞান ফিরলে যাতে চিৎকার না করতে পারে সে জন্য ভয় ভীতি দেখান। শিশু দুইটির বাবা মা তাদেরকে খুঁজে না পেয়ে তাৎক্ষনিক বিজয়নগর থানায় অবগত করেন এবং এলাকায় মাইকিং ও স্যোসাল মিডিয়ায় শিশু দুইটির ছবিসহ প্রচার করেন। এ দিকে পাচারকারীর চক্র জনতার উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে ওই এলাকার লোকজন শিশু দুইটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌছান। পরে শিশু দুইটির বর্ণনামতে উক্ত অটোরিকশাকে পাশ^বর্তী সোনামোড়া গ্রামের একটি অটোগ্যারেজে খুঁজে পাওয়া যায়। সেখানে চালককে খোঁজ করলে সে দৌড়ে পালায় এবং লোকজন তাকে চিনতে পারেন। পরে স্থানীয় ভাবে পাঁচগাও গ্রামের লোকজন বিষয়টি সমাধান করার জন্য নিদারবাদ গ্রামের মোঃ বাবুল মিয়া, মোঃ সারুয়ার রহমান ছুট্টুসহ অনেকের স্বরনাপন্ন হন।
এ নিয়ে আজ ১ জুলাই বিজয়নগর থানায় সুবর্ণা আক্তারের বাবা মোঃ রিপন মিয়া বাদী হয়ে উক্ত অটোরিকশা চালক উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের বামুটিয়া গ্রামের মৃত সফর আলীর ছেলে তকদির হোসেন প্রকাশ তছর আলীর ( ৪৮) নামে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি পাচগাও গ্রামের ছোট্টু মেম্বারের মেয়ের জামাতা । অনেক দিন ধরে তিনি শশুড় বাড়িতে থাকেন এবং এই এলাকায় অটো রিকশা চালান।
এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহম্মেদ জানান, এ বিষয়ে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক ঃ সাংবাদিক সারুয়ার হাজারী। বিএ (অনার্স), এমএ ইংরেজি।
গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিষয়ে মাস্টার্স (অধ্যয়নরত) পিআইবি।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় ঃ অভিযান সেন্টার, বিজয়নগর উপজেলা মোড়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
রাইট টাইমস 24