মেসিকে দেওয়া হুমকির পর যা বললেন আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতি

খেলাধুলা, ৪ মার্চ ২০২৩, 126 বার পড়া হয়েছে,

কাতারে দীর্ঘ ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতেছিল রোজারিও থেকে উঠে আসা ৩৫ বছর বয়সী ফুটবলের বরপুত্র লিওনেল মেসিকে নিজ জন্মভূমিতে প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ৩টায় লিওনেল মেসির স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোর বাবার বাড়ির মালিকানাধীন রোজারিওতে অবস্থিত একটি সুপারমার্কেটে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়েছে দুর্বৃত্তরা। এরসঙ্গে মেসিকেও মৃত্যুর হুমকি দিয়ে একটি বার্তা দিয়েছে তারা।

আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘কাদেনা-৩’ মারফত জানা যায়, গুলি করার সময় মার্কেট বন্ধ ছিল। তাই বাইরে থেকে স্টিলের দরজায় গুলি করে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায় দুজন আততায়ী। চলে যাওয়ার আগে রাস্তায় একটি কাগজ ফেলে যায় তারা। সেই কাগজেই লেখা ছিল, ‘মেসি, আমরা তোমার জন্য অপেক্ষা করছি। (রোজারিওর মেয়র) পাবলো ইয়াভকিন নিজেই মাদক চোরাচালানকারী। সে তোমাকে বাঁচাতে পারবে না।’

এই ঘটনায় মেসির পরিবার আতঙ্কিত। রোজারিওর মেয়রও এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছেন। তিনি এক বিবৃতিতে জানান, ‘এই ঘটনায় মারাত্মক প্রতিক্রিয়া হচ্ছে আমার। যে বা যারা এই কাজ করেছে তারা বিশ্বাসঘাতক। মেসির উপর আক্রমণের চেয়ে সারা বিশ্বে কোন খবর বেশি গুরুত্বপূর্ণ? আমি মেসির পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা সবাই আতঙ্কিত।’

তিনি আরও জানান, ‘তারা আমাকে আর মেয়র হিসেবে চাচ্ছে না! ঠিক আছে, আমিও এই পদে থাকব না। কিন্তু আমি চাই তাদের কাছে যেসব অস্ত্র আছে তারা সবাই সেগুলো ব্যবহার করুক। দেখি আমিও কি করতে পারি। কারণ আমার জানামতে রোজারিওতে একক কোনো সংঘর্ষ নেই। এই আক্রমণের পর এটা খুব স্পষ্ট যে রোজারিওকে আঘাত করা খুবই সহজ ও রোজারিওর জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট সাহায্যকারী বাহিনী নেই। প্রেসিডেন্টের বাসভবন এইখান থেকে বা কতই দূরে, সর্বোচ্চ আধা ঘন্টা! তাই আমি বলব যাদের ওপর এই নিরাপত্তার দায়িত্ব আছে তারা এখানে আসেন। আমি কেবলমাত্র একজন সিটির মেয়র। আমি নিরাপত্তা বাহিনীকে পরিচালনা করি না। সেইসঙ্গে তারা আমাকে এই দায়িত্ব দেওয়ার অনুমতিও দেননি।’
‘লা পুলগার’ বিরুদ্ধে প্রাণ নাশের হুমকির খবর জানার পর আর্জেন্টিনার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মাররিসিও মার্সি তার টুইটারে টুইট করে লিখেন, ‘এটি আর্জেন্টিনার জন্য খুবই ভয়ানক একটি খবর। সেইসাথে এটি সরকার ও সান্তা ফে-র জন্য একটি সতর্কবাণী। তারা আপনাকে বলতে চেয়েছে যে আপনি মাদক পাচারকারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকে থাকতে পারবেন না। তাই এই সমস্যার মূল উৎপাটনে আপনাকে মাদকের বিরুদ্ধে চূড়ান্তভাবে লড়াই করতে হবে। লিও, আন্তোনেলা ও তাদের পরিবার জন্য আমার সমর্থন সবসময় থাকবে।’